ড্রাফটিং Drafting LLB Fainal 8th part

বিজ্ঞ জেলা দায়রা আদালত,ফরিদপুর
ফৌজদারী মিসকেস নং-২৫/২০১২
সূত্র:ভাঙ্গা থানার মামলা নং ১৫()/২০১২
ধারা:৩৯৫ পিনালকোড,১৮৬০
বিষয়: ফৌজদারী কার্যবিধি,১৮৯৮ এর ৪৯৮ ধারা মতে জামিনে মুক্তির আবেদন প্রসঙ্গে
আব্দুল আওয়াল
পিতা-সানাউল্লাহ
গ্রাম:সদরদী
থানা:ভাঙ্গা
জেলা: ফরিদপুর
আসামী দরখাস্তকারী
বনাম
রাষ্ট্র
দরখাস্ত আসামী পক্ষের বিনীত প্রার্থনা এই যে,
) দরখাস্তকারী আসামীকে সূত্রে বর্ণিত মোকদ্দমায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বিগত ২৫/০৭/২০১৫ ইং তারিখে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সোপর্দ করেন
) ২৫/০৭/২০১৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্তকারীর পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয় বিজ্ঞ আদালত যুক্তিযুক্ত কারণ উল্লেখ না করেই জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করত: আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন
দরখাস্তকারী আসামী ম্যাজিস্ট্রেটের উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ অত্র আদালতে নিম্নবর্ণিত হেতুবাদে জামিনের প্রার্থনা করছেন

হেতুবাদ
) দরখাস্তকারী আসামী সম্পূর্ণ নির্দোষ, নিরপরাধ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি এবং তাকে সূত্রে বর্ণিত মামলায় সন্দেহের বশে গ্রেফতার করা হয়েছে
) অত্র মামলার এজাহারে দরখাস্তকারী আসামীর কোন নাম নেই এবং কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার জিগ্নাসাবাদে তাহার নিকট হতে কোন তথ্য বা দ্রব্যাদি উদ্ধার করতে পারেননি
) দরখাস্তকারী আসামী একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তার একটা ছোট মুদিখানার দোকান আছে এবং পরিবারের তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাহার বৃদ্ধ বাবা মা সহ সদস্যের পরিবারটি তার রোজগারের উপর নির্ভরশীল
) দরখাস্তকারী আসামী বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক ,তার স্থায়ী বাড়িঘর ঠিকানা এবং উপযুক্ত জামিনদারের ব্যবস্থা আছে,তাহাকে জামিনে মুক্তি দিলে তার পলাতক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই
) দরখাস্তকারী আসামী জামিনে মুক্তি পেলে জামিনের কোন শর্তভঙ্গ না করে আদালতের ধার্য্য তারিখে সময়মত হাজিরা দিতে বাধ্য থাকবেন
অতএব বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে,উপরিউক্ত ব্যবস্থা কারণাধীনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে অত্র দরখাস্ত মঞ্জুর করত: নি¤œ আদালতের নথি তলব করে শুনানীর পর দরখাস্তকারী আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে সদয় মর্জি হয়এবং আপনার এরুপ সদাশয় আদেশের জন্য দরখাস্তকারী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে
নিবেদক ইতি-
) ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১এ ধারায় দরখাস্ত

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,লালমনির হাট
ফৌজদারী মামলা নং-সদর থানা লালমনির হাটের মামলা নং ১৩() তাং ২৫/০৫/২০১৫
আরা ৩৭৯ দন্ডবিধি,১৮৬০ এর জি আর মামলা নং ১৩৫/২০১৫
 
রাষ্ট্র
বনাম
আসামী
) সেলিম (৩০)
) ছালাম (৩২)
) কালাম (৩৫)
সর্ব পিতা: জামাল
-২০,দক্ষিন বাড্ডা,
ঢাকা-১২১২
বিষয়: ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪১ ধারায় মামলা হতে অব্যাহতির দরখাস্ত
দরখাস্তকারির নিবেদন এই যে,
) আসামীগন এজাহারকারী প্রতিবেশী আসামীগন এজাহারকারির মধ্যে ইতোপূর্বে একাধিক দেওয়ানী ফৌজদারী মামলা একে অন্যের বিরুদ্ধে দায়ের করেন
) এজাহারকারী শক্রতা বশত: আসামীগনের বিরুদ্ধে অত্র মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যার ফলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে (দুই মাস) যাবৎ জেল হাজতে আবদ্ধ রাখেন
) এজাহারকারির কথিতমতে, চুরি যাওয়া গরু কালির হাটে বিক্রয় করার সময় জৈনক ছালাম নামক ব্যক্তির নিকট থেকে উদ্ধার হলেও ধৃত ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা ভাবে গরু চুরির অপরাধ আসামীগণের নাম জড়ানো হয়
) আসামীগণকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিগ্নাসাবাদ করেও চুরির সমর্থনে কোন স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি বা চোরাই গরু আসামীগনের দখল থেকে উদ্ধার হয়নি
) এজাহারকারির চোরাই গরু বাজার থেকে উদ্ধার হয়েছে এবং চোরও হাতে নাতে ধৃত হয়েছে এবং ধৃতচোর স্বীকারোক্তি দিয়ে আসামীদের নামও বলেনি বিধায় আসামীরা কোনভাবেই চুরির সাথে জড়িত নহে
বিধায় প্রর্থনা এই যে, আসামীগনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই এবং তদন্তে কোন সাক্ষ্য প্রমানও সংগ্রহ করতে পারেনি এবং চার্জ ভিত্তিহীন হওয়ায় আসামীগনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন
                                                                                               
তারিখ ২০/১১/২০১৫
) ড্রাফটিং এর মূলনীতিগুলো কি কি?
) ড্রাফটিং এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় আবশ্যক?
) দলিল অন্যান্য ডকুমেন্টস এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহা বর্ণনা কর
ড্রাফটিং বা মুসাবিদা আইনের একটি বিষয় যেখানে আইনি দলিলপত্র ,চুক্তিনামা, উইল দলিল, অধিকার কর্তব্য সম্পর্কিত দলিল, দেওয়ানী এবং ফৌজদারী আদালতের মামলার আরর্জি ,নারিশী দরখাস্ত বা বিভিন্ন প্রকার দরখাস্ত লেখার যে ফরমেট বা নমুনা সেই নমুনাকে বলা হয় ড্রাফটিং
এক কথায় বলা যে, কোন আইনি দলিল পত্রের মুসাবিদা এবং গঠনকেই বলা হয় ড্রাফটিং এই ড্রাফটিং এর ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান এবং কৌশল অর্জন করতে হয় ড্রাফটিং এর ক্ষেত্রে নানাবিধ কৌশল থাকলেও প্রত্যেক এর একটি নিজস্ব ধরণা থাকে
ড্রাফটিং সাধারণত সংক্ষিপ্তভাবে হতে পারে অথবা বিশেষভাবে হতে পারে
হস্তান্তযোগ্য দলিল লিখন (Convencing): Convencing এবং ড্রাফটিং মোটামুটি একই ধরনের তবে কনভেনসিং এর ক্ষেত্রে দলিলপত্র সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকে অন্যদিকে ড্রাফটিং বলতে ব্যাপক অর্থে সকল দলিলপত্রের এবং আদালতের আরর্জি জবাব নালিশী দরখাস্ত ইত্যাদি বুঝানো হয়
কনভেনসিং এর বিষয়বস্তু:
সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কনভেনসিং থাকে-
) দলিলের বিবরণ
) দলিলের তারিখ এবং পক্ষগনের নাম
) দলিলের উদ্ধৃতি
) দলিলে যে কোন ধরণের ঘোষনা/ শর্ত বা বয়ান থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে
) দাতার স্বাক্ষর
) সাক্ষীদের স্বাক্ষর
দলিল অন্যান্য ডকুমেন্টস এর মধ্যে পার্থক্য কি:
দলিল বলতে বোঝায় কোন সহি স্বাক্ষরিত কাগজ যাহা দ্বারা কোন একজনার শর্ত স্বার্থ অন্যের উপর বর্তায় এবং কোন নিশ্চয়তা পত্র যার দ্বারা দেওয়া হয় তাকেই দলিল বলে
অপরদিকে,ডকুমেন্টস হল এমন একটি জটিল বিষয় যার দ্বারা লিখিতভাবে কোন কিছু অর্জন করা হয় দলিল এবং ডকুমেন্টস একই ধরণেরঅর্থ বুঝায তবে একটিতে শর্ত স্বার্থ দখল হস্তান্তর বোঝায় অন্যদিকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিকার দায় দায়িত্ব ইত্যাদি থাকে


আইনি নোটিশ কি? সংবাদপত্র বা কিছু পাবলিক পোস্টিং বিজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষণা একটি আইনি পদক্ষেপ বা অভিপ্রায়

সম্পর্কিত আইনি শর্তাবলী নোটিশ আইনি, ডিফল্ট নোটিশ, পাবলিক নোটিশ, ফৌজদারী বিজ্ঞপ্তি, আইনি মতামত, বিজ্ঞপ্তি দিন, প্রথম নোটিশ দিবস, আইনি হ্যাজার্ড, বিজ্ঞপ্তি অ্যাকাউন্ট, বাতিলের বিজ্ঞপ্তি
প্রশ্ন- একটি লিগ্যাল নোটিশ ড্রাফট কর
লিগ্যাল নোটিশ
(
ডরঃয জবমরংঃবৎবফ /)
সুত্র: ০০২/১০/২০১৫
তারিখ: ১৭/১২/২০১৫
প্রতি
মো. তৌহিদুর রহমান
হাউস ঘড়.৭অ, ঔধভধৎধনধফ
ধানমন্ডি, ঢাকা.
----------------
নোটিশ গ্রহীতা

 
মাধ্যম
জধড়সধহ স্মিতা
অ্যাডভোকেট, ঢাকা জজ কোর্ট
চেম্বার:চধৎলধধিৎ সেন্টার
রুম নং ডি-৩৩, (দ্বিতীয় তলা)
২২, কোর্ট হাউস স্ট্রিটের
ঢাকা-১১০০
মো. আবদুল্লাহ
৩৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
-------------------
নোটিশ প্রেরক
জনাব,
উপরে উল্লেখিত আমার মোয়াক্কেল কর্তৃক নির্দেশিত হইয়া তাহার পক্ষে আমি আপনাকে জানাইতেছি যে,
.আমার মোয়াক্কেল মো. আবদুল্লাহ একজন সৎ,নির্ভরযোগ্য এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মানুষ বটে তিনি সুনাম খ্যাতির সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন
) আপনি আমার  মোয়াক্কেলের নিকট েেথকে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে গত ১১/১২/২০১৪ ইং তারিখে ,০০,০০০ /- (এক লক্ষ) টাকা ধার নিয়েছিলেন যাহা গত এক বছর থেকে দেই,দেব বলে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন কিন্তু দিতে পারেননি বা দেননি
) অবশেষে আপনি আপনার টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে গত ১৫/১২/২০১৫ ইং তারিখে একখানা চেক দিয়েছেন যাহার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৭৯৮৭৯৮০ চেক বহি পাতা নং ০০২৭ , সোনালী ব্যাংক, মতিঝিল শাখা
.উক্ত চেকখানা আমার মক্কেল নগদায়নের জন্য গত ১৬/১২/২০১৫ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংকের অত্র শাখায় দাখিল করলে আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়

অতএব,আপনাকে এই মর্মে নোটিশ দেওয়া যাচ্ছে যে, আপনি এই নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আমার মোয়াক্কেলের উক্ত ,০০,০০০ / - (এক লক্ষ) টাকা সরাসরি পরিশোধ করবেন উক্ত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
আপনার প্রদত্ত চেকটির প্রত্যাখ্যাত সার্টিফিকেট এবং চালানের অনুলিপি আমার চেম্বারে রক্ষিত আছে
নিবেদক
জধড়সধহ স্মিতা
অ্যাডভোকেট জজকোর্ট,
ঢাকা     
১৮৮১সালের এন আই এক্ট এর ১৩৮ ধারা অনুসারে লিগ্যাল নোটিশ:
প্রতি,
মো:এম. সোবহান হাওলাদার
পিতা: ইয়াছিন হাওলাদার
গ্রাম:কালকিনি,ডাকঘর:কালকিনি,থানা:কালকিনি জেলা: মাদারীপুর
এতদ্বারা আমি গোকুল চন্দ্র সরকার,এ্যাডভোকেট জজকোর্ট,ঢাকা নির্দেশিত হইয়া আমার মোয়াক্কেল মো: বোরহান উদ্দনি,পিতা: মো: হয়রবত আলী -২০,দক্ষিন বাড্ডা,ঢাকা-১২১২
এর পক্ষে আপনাকে জানাইতেছি যে,
) আমার মক্কেলের মাসিক ২০০০০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে তার দক্ষিন বাড্ডা এলাকার / হোল্ডিং এর ৫ম তলা বিল্ডিং এর ৪র্থ তলা বাসাটি বছরের জন্য বিগত ০১/০২/২০১৩ ইং তারিখে ভাড়া দিয়েছিলেন
) নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতেন না যা মালিক ভাড়াটিয়ার মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছেন
) আপনাকে বকেয়া ভাড়া অন্যান্য বিল পরিশোধ পূর্বক বাসাটি এক মাসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হইল
      
অতএব,আপনাকে এই মর্মে নোটিশ দেওয়া গেল যে, আপনি নোটিশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে যাবতীয় বিল এবং বাসা ভাড়াসহ সমূদয় বকেয়া বুঝাইয়া দিয়ে আমার মক্কেলকে বাসার শূন্য দখল বুঝাইয়া দিবেন,অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে
                                                                                                          
নিবেদক
  
তারিখ:১৭.০১.১৬                                                                                    গোকুল চন্দ্র সরকার
                                                                                                          
এ্যাডভোকেট,জজকোর্ট,ঢাকা


একজন তালিকাভূক্ত এ্যাডভোকেট এর অসদাচরণের দায়ে কিভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হবে?
বরাবর,
সচিব
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল,
রমনা,ঢাকা
বিষয়: অসদাচরণের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী রাজবাড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির একজন প্রবীন সদস্য নি¤œ উল্লেখিত অভিযুক্ত আইনজীবি রাজবাড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির একজন সদস্য যিনি পেশাগত নিযুক্তির জন্য প্রত্যেক থানায় একজন করে দালাল নিয়োগ করেছেন এবং তদুপরি শহরের বিভিন্ন মোরে তার পরিচয় দিয়ে বড় বড় বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন পেশাগত নিযুক্তির জন্য কোন ব্যক্তিকে পরিশ্রমিক দিয়ে নিয়োগ দেওয়া বা কারও সঙ্গে রোজগার ভাগাভাগি করা বা পেশা গত নিযুক্তির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া বাংলাদেশের আইনজীবিদের জন্য অনুসরনীয় পেশাগত সদাচরণ শিষ্টাচারের লংগন
বিধায় প্রার্থনা এই যে,কথিত আইনজীবির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে আপনার সদয় মর্জি হয়
অভিযুক্ত আইনজীবি                                                                                           ইতি
এ্যাডভোকেট পরিবানু                                                                    এ্যাডভোকেট গোকুল চন্দ্র সরকার
বাজবাড়ি ,আইনজীবী সমিতি                                                               রাজবাড়ি ,আইনজীবি সমিতি
মোবা-০১৯২২২২২৩৩৩

প্রশ্ন- মোয়াক্কেল এর সঙ্গে এবং সিনিয়রের সঙ্গে আচরণ কি হবে?
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত পেশাগত আচরণ শিষ্টাচার বিধি মোট চারটি পরিচ্ছেদে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে বিধানগুলি সংক্ষেপে নি¤œ উল্লেখ করা হলো-
আইনজীবীদের সংবিধান
ÒThe Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order and Rules১৯৭২ এর
Canons of Professional Conduct and Etiquetteনামক অংশে একজন আইনজীবীর সঙ্গে অন্যান্য আইনজীবী, মক্কেল, আদালত, এবং জনগণের সহিত কাঙ্খিত আচরন, শিষ্টাচার কার্যকলাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে সকল বিধি-বিধান মেনে চলা একজন আইনজীবীর আবশ্যকীয় কর্তব্য, এগুলো ভঙ্গ করাপেশাগত অসদাচরণ
মক্কেলের সাথে সম্পর্ক:
বিধি- একজন আইনজীবী কখনোই মক্কেলের সম্পত্তি বা মামলায় জড়িত স্বার্থের প্রতি আসক্ত হবেন না
বিধি- জড়িত বিষয় সম্পর্কে ইতিপূর্বে কোন গোপনীয় তথ্য অবগত হয়ে থাকলে, একজন আইনজীবী পরবর্তীতে তাহার বিরুদ্ধপক্ষে উক্ত বিষয়ে নিয়োগ গ্রহন করবেন না
বিধি- বিরুদ্ধপক্ষের সাথে সম্পর্ক বা অনুরুপ নিয়োগের বিষয়বস্তুতে আইনজীবীর কোন স্বার্থ থাকলে, তা প্রকাশ না করে একজন আইনজীবী পেশাগত নিয়োগ গ্রহন করবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী কোন মামলায় উভয়পক্ষের নিযুক্ত গ্রহন করবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী যে সম্পত্তির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন, তিনি সেই সম্পত্তি নিজে বা বেনামে বন্ধকী উদ্ধারের মাধ্যমে বা আদালতের মাধ্যমে ক্রয় করবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী তাহার নিজের সম্পত্তির সাথে মক্কেলের সম্পত্তি মিশ্রত করবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী কোন পক্ষের সাথে সম্পর্ক হলে বা বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া ব্যতীত কোন মামলার বাদী বা বিবাদীকে কোন পরামর্শ প্রদান করবেন না, অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে উক্ত বিষয়ে সম্পৃক্ত করা হয়
বিধি- একজন আইনজীবী তাহার পেশাগত ক্ষমতায় আইন ভঙ্গের পরামর্শ দিবেন না
বিধি- একজন আইনজীবীর অধিকার হচ্ছে কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে অংশগ্রহন করা

পেশাগত অসদাচরণের শাস্তিঃ
কোন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আনিত পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ প্রমানিত হলেবাংলাদেশ বার কাউন্সিলট্রাইব্যুনাল এই আইনের অনুচ্ছেদ ৩২() অনুসারে উক্ত দোষী আইনজীবীকে তিরস্কার বা আইনপেশা পরিচালনা হতে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত অথবা স্থায়ীভাবে পেশা পরিচালনা হতে অপসারণ করিতে পারেন
প্রশ্ন- এ্যাডভোকেট এর পেশাগত আচরণ:
পেশাগত অসদাচরণ বলতে পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট কাজের পরিপন্থিমূলক কাজ বা আচার আচরণ প্রভূতিকে বঝায় যখন একজন এডভোকেট আইন পেশায় নিয়োজিত থাকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা শিষ্টাচার বিরুদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়, তখন তা এডভোকেটের পেশাগত অসদাচরণ বলে গণ্য হয় ইধহমষধফবংয ইধৎ ঈড়ঁহপরষ ঈধহড়হং ড়ভ চৎড়ভবংংরড়হধষ ঈড়হফঁপঃ ধহফ ঊঃরয়ঁবঃব তিন ধরণের আচার আচরণ এক ধরণের কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে যথা-
) সহ এডভোকেটের সাথে আচরণ
) মক্কেলের সাথে আচরণ
) সাধারণ জনগণের সাথে আচরণ এবং
) আদালতের প্রতি কর্তব্য
জনসাধারনের প্রতি আচরণ:
এখন একজন এডভোকেট যদি উপরোক্ত কাঙ্খিত কার্যকলাপ, শিষ্টাচার সম্বলিত পেশাগত আচরণ এবং দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে এডভোকেট পেশাগত অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন
) কোন আইনজীবী কোন পক্ষকে হয়রানী করার জন্য কিম্বা কোন বিষয় বিলম্বে করার জন্য  মামলা গ্রহন করবেন না
) একজন আইনজীবী তার প্রতিপক্ষের সহিত বা তার সাক্ষীদের সহিত যথোপযুক্ত সুন্দর ব্যবহার করবেন কোন মক্কেলের এমন অধিকার নাই যে তার ইচ্ছানুযায়ী তার আইনজীবী প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করুক
) কোন আইনজীবী যদি বিশ্বাস করেন যে, কোন দেওয়ানী মামলা প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে তাহলে তিনি তা গ্রহনে অস্বীকার করতে পারেন কিন্তু একবার এরুপ দায়িত্ব গ্রহন করলে মোক্কেলের দাবীকৃত বৈধ বিষয়বস্তু সম্পর্কে রায়ের জন্য তা আদালতে পেশ করা তার কর্তব্য হয়ে পড়ে
) যে কেহ মক্কেল হতে  চাইলেই কোন আইনজীবী তার নিয়োগ গ্রহন করতে বাধ্য নহেন ইহা একজন আইনজীবীর নিজের বিবেচ্য বিষয় ইহা ছাড়াও তিনি বাদীর জন্য কোন ধরণের মামলায় এবং বিবাদীর জন্য কোন ধরণের মামলায় প্রতিনিধিত্ব করবেন তা নিজেই স্থির করবেন
 
) যত শক্তিশালী কর্পোরেট বা ব্যক্তিস্থানীয় মক্কেল হোক, সামাজিক বা রাজনৈতিকভাবে যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই হোক, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাপূর্ণ কোন বিষয়ে কারো সেবা বা উপদেশ প্রাপ্তির অধিকার নেই কোন এডভোকেটের উচিত নয় এসব বিষয়ে কাউকে সহযোগিতা করা আইনজীবীগণ আইন সুবিচারের প্রতিনিধি আইনজীবীবৃন্দ আদালতকে হেয় প্রতিপন্ন করার যেকোন প্রচেষ্টা প্রতিহত করবেন এবং আদালতের সম্মানকে সমুন্নত রাখবেন কোন ব্যক্তির,কোন সরকারী অফিসের,কোন ব্যক্তিগত ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে আইনজীবীগণ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না যদি করেন তাহলে আইনজীবী কঠোর যথাযথ ভৎর্সনা যোগ্য একই সঙ্গে তিনি তার পেশার সম্মান বৃদ্ধি করে,তার মক্কেলের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে, তার প্রদত্ত সেবা উপদেশ দিয়ে মক্কেলকে অভিভূত করবেন এবং তা করতে গিয়ে তিনি আইনের নৈতিক ভিত্তির কঠোরতম মানদন্ডটিও মেনে চলবেন যতক্ষন না কোন আইন কোন বিষয়ে চুড়ান্ত ব্যাখ্যা প্রদান করছে বা উপযুক্ত কোন আদালত কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছেন একজন আইনজীবী তার সজ্ঞান বিশ্বাস বিবেচনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইনটির অর্থের ব্যপ্তির ( মিনিং এন্ড একসটেনট  অভ দ্যা ) ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং এটি তার অধিকারও বটে সর্বোপরি একজন এডভোকেট তার অসামান্য বিশ্বস্থতা সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একজন অনন্য সাধারণ সৎ,দেশপ্রেমিক অনুগত নাগরিক হিসেবে তার জীবনে সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপ্ত হন
) কোন আইনজীবী তার পরিচয় না দিয়ে এবং তিনি কোন পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করিয়াছেন তাহা উল্লেখ না করে আদালতে হাজির বা পেশাগত বিষয় উপস্থাপন করবেন না
) কোন আইনজীবী ইতোপূর্বে বিচারিক পদমর্যাদা বলে কিম্বা সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত থাকার কারণে কোন বিষয় পরিচালনা করে থাকলে সেই বিষয়ে কোন পক্ষেই নিয়োগ গ্রহন করবেন না
) একজন আইনজীবী সাধারণ নিযম অনুযায়ী  অন্য কোন পেশা বা ব্যবসা পরিচালনা করবেন না কিম্বা ঐধরণের পেশা বা ব্যবসায় সক্রিয় অংশীদার বা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করবেন না
প্রশ্ন: অন্যান্য আইনজীবিদের সঙ্গে আচরণ:
অন্যান্য আইনজীবীর সাথে সম্পর্কঃবার কাউন্সিল আইনের
Canons of Professional Conduct and Etiquette  অংশের অধ্যায়ে আইনজীবীদেও আচরণবিধি বর্ণিত হয়েছে এই অংশের প্রথম অধ্যায়ে সহআইনজীবেিদও সঙ্গে আচরণ সম্পর্কে ১১ টি বিধি বা নির্দেশন রয়েছে এগুলি নি¤œরুপ:
বিধি- একজন সদস্য হিসেবে প্রত্যেক আইনজীবীর দায়িত্ব নিজের মর্যাদা উচ্চাসন সমুন্নত রাখার পাশাপাশি তাহার পেশার মর্যাদা উচ্চাসন বজায় রাখা
বিধি- একজন আইনজীবী বিজ্ঞাপন বা অন্য কোন মাধ্যমে পেশাগত নিযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী পেশাগত নিযুক্তির জন্য কাউকে কোন পারিশ্রমিক প্রদান করবেন না অথবা অননুমোদিত ব্যক্তির সাথে পেশাগত অর্থ বন্টনের অংশীদার হবেন না অথবা অননুমোদিত কোন ব্যক্তিকে আইন পেশা পরিচালনা করতে সহায়তা বা প্ররোচনা দিবেন না
বিধি- একজন আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলে তাহার অনুপস্থিতিতে এবং তাহার সম্মতি ছাড়া মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে অন্য কোন আইনজীবী তাহার মক্কেলের সাথে আলাপ-আলোচনা করবেন না
বিধি- অন্যপক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকাকালে একজন আইনজীবী বিচারকের নিকট কোন তথ্য বা যুক্তিতর্ক, বিচারকের সম্মুখে অথবা উন্মুক্ত আদালত ব্যতীত বিচারাধীন আদালত বা বিচারিক কর্মকর্তার নিকট প্রকাশ করবেন না
বিধি- একজন মক্কেল একাধিক আইনজীবীর সহযোগিতা চাইলে সে ক্ষেত্রে বাধা দেয়া যাবে না প্রথমে নিযুক্ত আইনজীবীর বকেয়া ফিস পরিশোধ না করে থাকলে ইহাতে অপর আইনজীবী জড়িত হওয়া সংগত হবে না
বিধি- আইনজীবীগণের মধ্যে ব্যক্তিগত সকল বিবাদ এড়ায় চলতে হবে কোন মামলার বিচার চলাকালে ব্যক্তিগত ইতিহাস বা ব্যক্তিগত বৈশিষ্টের ব্যাপারে অপর পক্ষের আইনজীবী সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়া যাবে না
বিধি- ফিস বিষয়ে আইনজীবীগণের মধ্যে বন্টনের নীতিমালা অনুযায়ী বন্টিত ব্যতীত, আইন সহায়তার জন্য কোন ফিস অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে বন্টিত করবেন না
বিধি- বার কাউন্সিল কর্তৃক সংরক্ষিত সিনিয়র আইনজীবীদের ক্রম অনুসারে সম্মান প্রদর্শন করা সকল আইনজীবীর কর্তব্য সাংবিধানিক প্রথা হিসেবে এটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট জেনারেরকে ক্রম হিসেবে পথম আইনজীবী হিসেবে গন্য করা হয়- নীতিটি মেনে চলতে হবে
বিধি-১০ নবীন সদস্যগন সর্বদা প্রবীণ সদস্যদের শ্রদ্ধা সম্মান করবেন
বিধি-১১ কোন পক্ষে একাধিক আইনজীবী নিয়োজিত হলে, সেই ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মামলা পরিচালনা
করবেন
আদালতের প্রতি আইনজীবীর কর্তব্য:
ÒThe Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order and Rules১৯৭২ এর
Canons of Professional Conduct and Etiquette  অংশে আইনজীবীদের আচরণবিধি বর্ণনা করা হয়েছে এর মধ্যে তৃতীয় অধ্যায়ে আদালতের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে টি বিধি রয়েছে এগুলি নিম্নরুপ:
 
বিধি-: অদালতের সুমহান মর্যাদা বজায় রাখার জন্য একজন আইনজীবীর আদালতের প্রতি শ্রদ্ধশীল মনোভাব থাকতে হবে
বিধি-:একজন আইনজীবী যার সাক্ষ্যের মাধ্যমে কোন ঘটনা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তাকে আদালতের সমন এড়ানো,আতœগোপন করা অথবা অন্য কোন ভাবে তার সাক্ষ্যকে দুস্প্রাপ্য করার পরামর্শ দিবেন না
বিধি-:একজন আইনজীবী উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সাক্ষীর সাক্ষ্য,বিরুদ্ধপক্ষ আইনজীবীর বক্তব্য,দলিলের বিষয়বস্তু,কোন বইয়ের ভাষা,আইন এবং সিন্ধান্তের ভুল ব্যাখ্যা জজ বা বিচারিক কর্মকর্তার কাছে করবেন না
বিধি-: একজন আইনজীবী জজ সাহেব বা বিচারিক কর্মকর্তার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখবেন না যার উদ্দেশ্য ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে
বিধি-: একজন আইনজীবি বিচারাধীন কোন বিষয় নিয়ে জজ সাহেবের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আলাপতারিতা করতে পারবেন না জজ সাহেবের কাছে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করা যাবে না
 
বিধি-:সরকারী প্রসিকিউশনের দায়িত্বে নিয়োজিত আইনজীবীর প্রাথমিক দায়িত্ব হল ন্যায় বিচারে সহাযতা করা সাজা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব নহে
বিধি-: একজন আইনজীবী যদি কোনভাবে সাক্ষ্য গোপন করেন বা কোন ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তা তাহা নিন্দনীয় কাজ বলে গন্য হবে
বিধি-:একজন আইনজীবী বিচারাধীন কোন বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় কোন নিবন্ধ লিখবেন না বা কোন মন্তব্য করবেন না যাহা ন্যায় বিচারের অন্তরায় হতে পারে
বিধি-: একজন আইনজীবী জজবা বিচারিক কর্মকর্তা কর্তৃক অনুরোধ না পেলে নিযুক্তীয় আইনজীবী নহেন এমন কোন আইনজীবী কোন মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানীতে অনাহুতভাবে তার মতামত তুলে ধরবেন না বা কোন বক্তব্য উপস্থাপন করবেন না তবে বিরোধীয় বা প্রাসঙ্গিক কোন বিষয়ে মতামত প্রদানের বিচারক কর্তৃক অনুরোধ পেলে দায়িত্বের সাথে তিনে নিরপেক্ষভাবে সেই বিষয়ে মতামত তুলে ধরবেন

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"এক নজরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির" "Bangladesh Islami Chhatrashibir at a Glance"

একজন আলেমের পদস্খলন- একটি জনগোষ্ঠীর অধঃপতন